শুরুতে ৩৫ জন নারী ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে বিদ্রোহী ১৮ জন ছিলেন চুক্তির বাইরে। অবশেষে সাবিনা- সানজিদা- মনিকারাও চুক্তি সম্পন্ন করেছেন।
গত ৩০ জানুয়ারি কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তার অধীনে অনুশীলনে অস্বীকৃতি জানান সাবিনাসহ ১৮ নারী ফুটবলার। একপর্যায়ে তাদের বাদ দিয়ে ৩৫ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে চুক্তি করে বাফুফে। সবশেষ তিক্ততা ভুলে চুক্তিতে এসেছে বাকি ফুটবলাররাও। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘বাকি ১৮ জন খেলোয়াড় ছয় মাসের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। চুক্তির মেয়াদ স্বাক্ষরের তারিখ থেকেই কার্যকর হয়েছে। এর ফলে চুক্তিবদ্ধ নারী ফুটবলারের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে।’
গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ৩৬ বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলারের মধ্যে বর্তমানে ৮ জন কোচ পিটার বাটলারের অধীনে ঢাকায় চলমান ক্যাম্পে অনুশীলন করছেন। বাকি ১০ জন বর্তমানে খেলছেন ভুটানের নারী ফুটবল লিগে। গত সপ্তাহে অনলাইনে সেখানে চুক্তির কপি পাঠিয়েছিল বাফুফে। ভুটানে বসেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ১০ নারী ফুটবলার। তারা হলেন- সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মানডা, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, মাসুরা পারভিন, কৃষ্ণা রানী সরকার, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার (সিনিয়র) ও মাতসুশিমা সুমাইয়া।
মোট তিন ক্যাটাগরিতে বেতন পাবেন সাবিনারা। সিনিয়ররা পাবেন সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার করে। আর সর্বনিম্ন ২০ হাজার করে পাবেন জুনিয়ররা। এরমধ্যে সাবিনারা আগের চেয়ে বেতন বাড়িয়ে চুক্তির আওতায় এসেছেন। তবে নতুন করে বেতন কাঠামোর চুক্তি নিয়ে কারও কারও মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
সামনে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ আছে। আগামী ৩১ মে তারা মুখোমুখি হবে জর্ডানের, ৩ জুন খেলবে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচের জন্য ভুটানে খেলতে যাওয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচ জনকে জাতীয় দলে ডেকেছেন পিটার বাটলার। দ্রুতই পিটারের ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা মনিকা, মারিয়া, রুপনা, শামসুন্নাহার ও ঋতুপর্ণার।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন